সংবাদদাতাঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসান বাহিনীর ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার ভোররাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেত্তপাড়া, লতিফপুরসহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্মীপুর গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে সোলায়ামন উদ্দিন জিসানের সহযোগীদের গ্রেফতার করে। সোমবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ কর হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার সেলিম উদ্দিন, পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ, সোলাইমান রাশেদ, রুবেল হোসেন, মিন্টু, মনির হোসেন, ফজলে রাব্বী, সামছুদ্দিনসহ ৯জন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ নুর জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিফপুর, দেওপাড়া, আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের এবং দুইজন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ও দেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ, চৌকিদার সেলিম উদ্দিনসহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই পুরস্কার ঘোষিত ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী সোলাইমান উদ্দিন জিসান বাহিনীর সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসান বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে বহুবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও জিসান বাহিনীর অনেক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
এছাড়া জিসান বাহিনী, ওই এলাকার আরেক সন্ত্রাসী মো: নাছির উদ্দিনের বাহিনীর হাতে স্কুল ও কলেজ ছাত্র, পথচারীসহ মারা গেছে ৫ জন।
জিসান বাহিনী ও নাছির বাহিনীর চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ট লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের মানুষ। এই দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর সন্ত্রাসী জিসান ও নাছিরকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।