প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অধিকতর গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি যারা এখানে বিজ্ঞানী ও গবেষক আছেন আরো ভালকরে গবেষণা করুন যাতে বিশেষ করে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশ আরো বেশি উৎকর্ষতা লাভ করতে পারে।’
তিনি বলেন,কোথায় কোথায় আমাদের আরো বেশি বিনিয়োগ করা দরকার সেইভাবেই আমাদের দেশের জলবায়ু, মাটি, পানি সবকিছু নিয়েই আপনাদের কাজ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সবাই কাজ করবেন সেটাই আমি চাই। কারণ বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলবো সেটাই আমাদের লক্ষ্য’।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারো কাজ থেকে পিছিয়ে থাকবো না সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কারণ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। তাঁদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে আমি মনেকরি গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবক্ষেত্রে গবেষণাই হচ্ছে একমাত্র পথ। গবেষণার মধ্যদিয়েই সমাজকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
আল্লাহর রহমতে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ। অর্থনৈতিকভাবেও আমরা যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, কাজেই আমাদের দেশে আরো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষক তৈরী হোক সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সাইন্স এন্ড আইসিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করছি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষকদের মাঝে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে ও সব কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। কাজেই তারা পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং থাকবেও না। সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন,তাঁর সরকারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা জলবায়ু পরিবর্তন- এর প্রভাবে বাংলাদেশের যেন কোন ক্ষতি না হয়, বাংলাদেশের জনগণ যেন উন্নত জূীবন পায় এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই দীর্ষমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। শতবর্ষ পর আমাদের যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে তাঁদের জীবন-যাত্রার মান কেমন হবে সেটা মাথায় রেখেই আমাদের এই পরিকল্পনা।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি মনে করি আমাদের বিজ্ঞানী, গবেষক- তাদের একটা বিরাট দায়িত্ব জাতির কাছে আছে। কাজেই সেই দায়িত্বটা আপনারা পালন করবেন। সেটাই আমি আশাকরি। যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মই এদেশটাকে সুৃন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আর কোন অশুভ শক্তি যেন বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
‘ইশাল্লাহ বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই আমরা গড়ে তুৃলতে সমর্থ হব।’