‘মুশফিকুর রহমান’।।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্প পাকিস্হান বিরোধী মন্তব্য ও মুসলিমদের যুক্তরাস্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও বর্তমানে পাকিস্হানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।পাকিস্তানের সবকটি মিডিয়া গুরুত্তের সাথে যে খবরটি ফলাও করে প্রচার করে তাহলো পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে টেলিফোন কথোপকথন।টেলি সংলাপে পাকিস্হানের ভূয়সি প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন আপনার সঙ্গে শিগগির দেখা করতে আমি আগ্রহী। কাশ্মির নিয়ে যখন সীমান্তে ভারতের সাথে দেশটির যুদ্ধাবস্হা ঠিক সেই মুহুত্বে মার্কিন প্রেসিডেন্টর ‘পাক বন্ধনা’ শুধু ভারতই নয় কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও রিতিমত বিস্মিত।মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানকে যে কোন সাহায্য করতে আগ্রহী বলে দাবি করছে পাকিস্হানের মিডিয়া। বিরোধপূর্ণ কাশ্মির নিয়ে মধ্যস্হতায় ভূমিকা নিতেও আগ্রহী তিনি।এতদিন মার্কিন সরকারের সাথে ভারতের উষ্ণ সম্পর্ক কারোই অজানা ছিলনা। যা দক্ষিনপূর্ব এশিয়ায় ভারত-মার্কিন কৌশলগত আঁতাতের একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েছিল।তাছাড়া ভারত পাকিস্হানকে সন্ত্রাসবাদী রাস্ট্রের তকমা দিতে বর্তমান প্রসাশনের উপর ব্যাপক কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে আসছে।উভয় দেশই ট্রাম্প প্রশাসনকে কাছে টানতে জোর কুটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।ভারত ও পাকিস্হানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে অভিন্ন স্বার্থ কাজ করছে।নওয়াজ-ট্রাম্প কথোপকথন দক্ষিন এশিয়ায় ভারতের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে কিনা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।পাকিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের এত ‘প্রশংসা’য় বিস্মিত মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। আমেরিকার শীর্ষস্হানীয় একটি পত্রিকার দাবি, ‘ট্রাম্পের এই প্রশংসা সত্যি অভাবনীয়।পাক-ভারত নিয়ে মার্কিন কৌশল কি হবে তা দেখার জন্য আরও কিচুসময় অপেক্ষা করতে হবে।mushfiqurrahman2021@gmail.com