আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ফেসবুকে নগ্নছবি নিষিদ্ধ থাকলেও মায়ের স্তন্যপান করানোর দৃশ্য নিষিদ্ধ নয়। একজন মায়ের কাছে তার সন্তান দুগ্ধ পান করানো কতটা পবিত্র তা মায়ের অনুভূতিতেই হয়তো ভালো বোঝা যায়। তারপরও এই অপরাধেই মাকে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড! ‘দোষটা’ যতটা ভাবছেন ততটাও না। দুগ্ধপান করানোর সময় তিনি কালো বোরখায় আবৃতও ছিলেন। বাড়ির বাইরে শিশুকে দুগ্ধ পান করাচ্ছিলেন এই ‘অপরাধে’ এই পাশবিকভাবে তাকে হত্যা করে জঙ্গিগোষ্ঠী ISIS-এর আল-খানসা ব্রিগেড।
আল খানসা হল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর হাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী জঙ্গিদের বিশেষ ব্রিগেড। যাদের কাজ জঙ্গিগোষ্ঠীর কট্টরপন্থী ভাবধারাকে ছড়িয়ে দেয়া এবং তা বহাল রাখা। এই ব্রিগেডের সদস্য কারা জানেন? মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশ থেকে কট্টরপন্থি মুসলিম পরিবারের নারীরা নয়। প্রায় ৬০ জন ব্রিটিশ নারীদের নিয়ে গড়া এই আল খানসা ব্রিগেড।
বর্ববতার উদাহরণে বরাবরই নিজেদেরকে ছাপিয়ে গেছে ISIS। তাদের বর্বরতার শিকার হয়ে কোটি মানুষ এখন গৃহহীন। পণবন্দিদের আগুনে ঝলসে মারা থেকে কিশোরী-যুবতিদের যৌনদাসী বানানো, এসব কর্মে বরাবরই খবরের শিরোনাম হয়েছে মধ্যপপ্রাচ্যের এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
এবারের নির্মমতার বর্ণনা দিলেন সিরিয়ার রাক্কার প্রাক্তন বাসিন্দা। রাক্কা থেকে পালিয়ে এসে দক্ষিণ টার্কিতে ঠাঁই নেয়া এই নারী আয়শা জানালেন, মায়ের কাছ থেকে প্রথমে সন্তানকে আলদা করে নেয় জঙ্গিরা। অন্য নারীর হাতে তুলে দেয় ওই বাচ্চাকে। আর তারপর নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মাকে।
এ ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করেছে খোদ ISIS-এরই একটি পৃষ্ঠপোষক সোশ্যাল সাইট। তারা জানিয়েছে, খুন করার আগে ওই নারীর হাত-পা কেটে তাকে বিকলাঙ্গ করে দেয়া হয়। তারপর তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
কোনো নারী যদি এই নিয়ম ভাঙেন, তাহলে তার নিয়তি মৃত্যুদণ্ড। শাস্তিস্বরূপ জনসমক্ষে বালির মধ্যে জীবন্ত কবর দেয়া হয় তখন সেই নারীকে।