যশোর থেকে মোস্তফা কামাল:
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার এএসআই রফিক আটককৃত ১৩টি সোনার বার নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় গোটা পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ওই এএসআই এর বিরুদ্ধে পোর্ট থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩২। এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা পোর্ট থানা পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই সোনাসহ রেজাউল নামে একজনকে আটক করে থানায় রেখে সোনা নিয়ে পালিয়ে যান এএসআই রফিক। রফিক নড়াইলের বাঐসোনা গ্রামের হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, পোর্ট থানার পুলিশের এএসআই রফিকসহ ও পুলিশের অপর দুই সদস্য সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল পোর্ট থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির সামনে থেকে ১৩টি সোনার বারসহ ওই গ্রমের সাইদুর মল্লিকের ছেলে রেজাউলকে (২৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে থানা হাজতে রেখে সন্ধ্যার পর এএসআই রফিক পালিয়ে যান। পরে রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোনা আটকের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আটক রেজাউল জানায়, সে শরীরে বহন করে ওই সোনা ভারতে পাচার করার জন্য রঘুনাথপুর সীমান্তে যাওয়ার সময় তাকে এএসআই রফিক আটক করেন। তার শরীর তল্লাশ করে ১৩টি সোনার বার পকেটে নিয়ে তাকে থানাহাজতে ঢুকিয়ে দেয়। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি তাদের জানানো হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোনা বাহক আরও একজন ছিল। তার কাছ থেকেও সোনা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেও দু’জনার কাছে প্রায় ৩০টি বার ছিল। থানা পুলিশের এক কর্মকর্তার নির্দেশে এ কাজ করা হয়েছে বলে ওই সূত্রটি জানায়।
যশোরে বাস উল্টে দুজন নিহত
যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের মালঞ্চীতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মহিলাসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হচ্ছে, ঝিকরগাছা উপজেলার মালঞ্চী গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে ওহেদ আলী (৫৫) ও যশোর সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের আইয়ুব হোসেন(৪৩)। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হচ্ছেন, রাকিব(৪৫), অজ্ঞাত(৩৪), রাকিবুল হাসান(৩৮), লিয়াকত হোসেন(৪০), নাছিমা খাতুন(৩০), নিলুফার (৩২), আব্দুল খালেক(৩১), আব্দুর রশিদ(৪৮), আব্দুর রাজ্জাক(৪০), লিপি সরকার(৩০), খোকন হোসেন(৪০) এবং হানিফ (৫৫)। আহতরা জানান, মঙ্গলবার সকালে যশোর চাঁচড়া মোড় থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে মালঞ্চী এলাকায় একটি নসিমনকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে পথচারীসহ বাসযাত্রীরা আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে ওহেদ আলী ও আইয়ুব হোসেনের মৃত্যু হয়। লাশময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
যশোরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে
যশোর পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাবেক মেয়র এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু অভিযোগ করেছেন, তাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে রেন্টু চাকলাদারের (নৌকা মার্কার প্রার্থীর) পক্ষে অতি উৎসাহী হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি সেবা সংঘ স্কুলে নৌকা মার্কার পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহীন চাকলাদার প্রকাশ্যে বলেছেন- ৪ নং ওয়ার্ডে অন্য কোনো দলের প্রার্থীর পোস্টার থাকবে না। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেছেন- কোনো ভোটকেদ্রে তাদের (অন্য প্রার্থীর) নির্বাচনী এজেন্টও থাকবে না।
চুন্নু দাবি করেন- প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই তার কর্মীরা নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে কাজীপাড়া এলাকার তমালের নেতৃত্বে ৮-১০ সন্ত্রাসী তার তিন কর্মীকে মারধর করে এবং পোস্টারে আগুন দেয়।
সন্ত্রাসীরা সেসময় তার ছেলে সুমনকে অপহরণেরও চেষ্টা করে কিন্তু সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন তিনি।
সন্ত্রাস আর হুমকিমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে যেন ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন-সে ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।