দ্য বিডি এক্সপ্রেস.কম
পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় জাতির শেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ দিবসে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৮টার কিছু পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুসময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দল সশস্ত্র সালাম জানায়।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান এবং আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছে প্রথমেই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
স্মৃতিসৌধে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় সাংসদ আসলামুল হক আসলাম।
রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে শেখ হাসিনা, আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং আসলামুল হক তাকে স্বাগত জানান।
বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবদুল হামিদ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন।
সরকারপ্রধান হিসাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে হত্যা করে। এই হত্যাকণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।
পরে শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।