প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কখন গ্রেফতার করা হতে পারে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
জানা গেছে, চলমান আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী ও চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের মামলায় তাকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে গ্রেফতারের পরিবেশ তৈরির জন্য। সর্বশেষ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২৫ ফেব্রুযারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপরই ঢাকা সেনানিবাস থানা, গুলশান থানাসহ ৩টি থানায় এ পরোয়ানা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারের পরিবেশ তৈরির অংশ হিসেবে হঠাৎ হঠাৎ গ্রেফতার গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে খালেদাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা— এ ব্যাপারে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
তাদের ভাষ্য মতে, পরিবেশ অনুকূলে মনে হলেই গ্রেফতারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তারা আরও জানান, খালেদাকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের পরোয়ানা সর্বশেষ উপায়।
দলের ও সরকারের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গ্রেফতার করা হলে জনমনে প্রতিক্রিয়া, ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের গতিপথ ও আন্তর্জাতিক মনোভাব কী হতে পারে সেসব বিষয় নিয়েও ভাবছে সরকার। বিশেষ করে গ্রেফতারপরবর্তী পরিস্থিতি ও তা সামাল দেওয়ার বিষয়ে নিবিড় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণও চলছে সরকারি মহলে। সূত্রমতে, মূলত সে কারণেই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ধীরগতি অনুসরণ করেছে সরকার।
তবে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা সরকারকে অনেকখানি আশ্বস্ত করে তুলেছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে চান— এমন একটি ধারণা রয়েছে আওয়ামী লীগের একটি মহলের ভেতরে, সেটিও আমলে নেওয়া হচ্ছে।