প্রতিবেদকঃ ২৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি ও রুবেলের বোলিং তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয় আফগান শিবির। প্রথম ৩ ওভারেই ৩ ব্যাটসম্যান হারায় তারা। প্রথম দুই ওভারে মাশরাফির বলে জাভেদ এবং রুবেলের বলে আফসার আউট হন। তৃতীয় ওভারে মাশরাফির শিকার হন আসগার। আফগানদের সংগ্রহ ১২.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান।
এরআগে দলের প্রথম ইনিংসে দলের বিপদের মুহূর্তে টাইগারদের হয়ে প্রতিরোধের দেয়াল গড়েন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই তুলে নিয়েছেন অর্ধশত। এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃড়তায় পঞ্চম উইকেট জুটি থেকে আসে ১১৪ রান। সাকিব ৫০ বল খেলে ৬৩ আর মুশফিক ৫৬ বলে ৭১ রান করে আউট হন । টস জয়ী টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানদের করতে হবে ২৬৮ রান।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরের মানুকা ওভাল স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় খেলা শুরু হয়।
দলীয় ৪৭ রানে তামিম ও ৫২ রানে বিজয় পরপর এই দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান হারিয়ে কিছুটা হোঁছট খেলেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় করছিল। তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৫০ রান। ঘুরে দাঁড়ানোর এই চেষ্টায় আঘাত হানেন যাদরান। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি তুলে নেন তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট। অর্থাৎ ১১৯ রানে টাইগারদের নেই ৪ উইকেট। এ সময় সাকিব ও মুশফিকের জুটি থেকে শতাধিক রান যুক্ত হয়।
সৌম্য সরকার ২৫ বলে ২৮ রান করে দলীয় ১০২ রানের সময় জাদরানের বলে এলবি হন। জাদরানের বোলিংয়েই আউট হন অপর নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি করেন ৪৬ বলে ৪৩ রান। এর আগে আনামুল হক বিজয় সাজ ঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। ব্যক্তিগত ১৯ এবং দলীয় ৪৭ রানে সাজ ঘরে ফিরে যান তামিম। এই দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান আউট হন আশরাফের বলে।
খেলা শুরুর আগে টস জয়ী টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, মনে হচ্ছে এটা ভালো ব্যাটিং ট্র্যাক। আশা করি, আমরা ভালো রান করাতে পারব।
ব্লাক হর্স হিসেবে মাঠে নামা আফগানিস্তান আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছে তাদের কোনো চাপ নেই, কিছু হারাবারও নেই। চাপে থাকবে বাংলাদেশ। তাই তারা এই সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চায় না।
আফগানরা একটি ওয়ানে ম্যাচ খেলেছে টাইগারদের সাথে। আর সেটিতে তারা পেয়েছিল জয়। এক্ষেত্রে তাদের মনোবলটাও বেশ চা্ঙ্গা। অবশ্য টাইগাররা সব হুঙ্কারকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, তারা আত্মবিশ্বাসী ফলাফল তাদের পক্ষেই আসবে।