দ্য বিডি এক্সপ্রেসঃ সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩২ জনের মৃত্যুর পর কারণ খুঁজতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও ভিন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এছাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের সংখ্যা তিনজনের জায়গায় ছয়জন করে দেওয়া হয়েছে।
অনেক চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৃত শিশুদের বাবা মায়েরা অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুললেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগ নাকচ করছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুস সবুর বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে বলেছেন, গতরাতে ৭৫টি শিশু ভর্তি হয় যাদের অনেকেরই ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়া সহ নানা জটিলতা ছিল।
তিনি বলেন, অনেকে মুমূর্ষু অবস্থায়ও এসেছিল।
১০টি শিশুসহ গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ৩২ জন মারা গেছে। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১৫ জন রোগী মারা যায়।
ব্রিগেডিয়ার সবুর বিপজ্জনক কোনো সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করলেও, ঢাকা থেকে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল বুধবার সিলেট যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ওসমানী হাসপাতালে আতঙ্ক
এত কম সময়ে এত সংখ্যক রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অনেকের মধ্যেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আব্দুস সবুর নামে একজন রোগী মোবাইল ফোনে বিবিসিকে বলেন, তার পাশের বেডে এক রোগীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি আতঙ্ক বোধ করছেন।