সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। এটি নির্মাণ করছেন প্রসূণ রহমান। এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন কুমার বিশ্বজিত্। বাবা কুমার বিশ্বজিতের কাছে ছেলে নিবিড় যখন ‘সুতপার ঠিকানা’ চলচ্চিত্রের গল্প শুনে তখন গল্প শুনে মুগ্ধ হয় নিবিড় এবং তার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মা-কে শ্রদ্ধা জানাতে নিবিড় চলচ্চিত্রে অপু চরিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে। শুরু হয় অভিনয়ে নিবিড়ের পথচলা। এরই মধ্যে নিবিড় তার অভিনয়ের কাজ শেষ করেছে। পরিচালক প্রসূণ রহমান, সুতপার ভূমিকায় অভিনয় করা শিল্পী অপর্ণা নিবিড়ের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘নিবিড় সত্যিই অনেক ভালো অভিনয় করেছে। ভাবতেই পারিনি সে এতটা ভালো করবে।’ কুমার বিশ্বজিত্ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ওর মাঝে কাউকে অনুকরণ করার বিষয় আমি লক্ষ্য করে আসছি। এমনকি আমার চালচলনও সে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। হাজার লোকের ভিড়ে কোনো একটা ভুল হয়তো তারই চোখে ধরা পড়ে। তো বিশেষ কিছু গুণ আছে তার মাঝে। যে কারণে কোনোদিন অভিনয় না করলেও নিবিড় বেশ ভালোই করেছে “সুতপা’র ঠিকানায়”। ছোট্ট নিবিড় এখন ক্লাস সিক্সে পড়ছে। সে নিজেও সবার কাছে দোয়া চেয়েছে ‘‘সুতপা’র ঠিকানা’’ চলচ্চিত্রটির জন্য। এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার কাজ করার পাশাপাশি কুমার বিশ্বজিত্ দুটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন। অন্য চারটি গানের মধ্যে দুটি গেয়েছেন সামিনা চৌধুরী, একটি গেয়েছেন চন্দনা মুজমদার এবং আরেকটি গেয়েছেন কণা ও কিশোর। এর আগে কুমার বিশ্বজিত্ পি এ কাজল পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে গায়ক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। বিগত কয়েকমাস যাবত শুধু ‘‘সুতপা’র ঠিকানা’’ চলচ্চিত্রের গান নিয়েই নিরলস পরিশ্রম করছেন তিনি। খুব কাছের যারাই গানগুলো শুনছেন, মুগ্ধ হয়ে পড়ছেন। আবার এমন অনেকেও আশা করছেন এই চলচ্চিত্রের গান নিয়ে আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন গুণী এই শিল্পী। চলচ্চিত্রের একটি গান নেয়া হয়েছে সিলেট অঞ্চলের গীতিকবি রাধারমণের সংগ্রহ থেকে। অন্য পাঁচটি গান লিখেছেন ‘সুতপা’র ঠিকানা’র পরিচালক প্রসূণ রহমান।